নিউজ ডেস্ক : ফরিদপুরে সাজিয়া বেগম নামে সরকারি কলেজের এক শিক্ষিকা ও ফারুক হাসান নামে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ১১টার দিকে শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকায় একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় ব্যাংকার ফারুক হাসানের ফ্ল্যাট থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এ এফ এম নাছিম জানান, সাজিয়া বেগম ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি ২৯তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে চাকরিতে যোগ দেন। আর ফারুক হাসান সোনালী ব্যাংক ফরিদপুর শহর শাখায় কর্মরত ছিলেন। তারা একই ভবনে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
ফরিদপুর জেলা পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি আতিকুল ইসলাম বলেন, ফারুক হাসানের লাশটি ছিল ঝুলন্ত অবস্থায়। আর সাজিয়া বেগমের লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি-মালিকের ছেলে ওই ফ্ল্যাটের মূল দরজা খোলা পান। তিনি উঁকি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় একজনের লাশ দেখে চিৎকার দেন। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, বাড়ির যে ফ্ল্যাটে সাজিয়া থাকতেন তার পাশের ফ্ল্যাটেই ভাড়া থাকতেন ফারুক। ওপরের তলায় বাড়ির মালিক থাকেন।
ওসি বলেন, সাজিয়ার মুখমণ্ডল রক্তাক্ত ছিল। মনে হয়েছে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করা হয়েছে। তার স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। মাঝেমধ্যে তিনি ফরিদপুরে আসতেন। তবে ফারুকের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তিনি বিবাহিত কি-না তাও জানা যায়নি। মনে হচ্ছে সাজিয়া বেগমকে হত্যার পর ফারুক হাসান আত্মহত্যা করেছেন।
ওসি আরও জানান, দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও থাকতে পারে। তবে সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। লাশ দুটির ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। (জনজোয়ার ২৪)